আগের রাতেও বলেছেন, শেষ পর্যন্ত ভোটে থাকবেন। কিন্তু সকালে ভোট দিয়েই দিয়েছিলেন বর্জনের ইঙ্গিত। জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত জানাবেন। আর এর তিন ঘণ্টার মধ্যেই এল এই ঘোষণা।
সকাল আটটা থেকে ভোট শুরুর চার ঘণ্টার মধ্যেই বেলা ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে বরিশালে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার বললেন, তিনি আর ভোটে নেই। বর্জন করেছেন। এর কিছুক্ষণ আগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ওবাইদুর রহমান মাহবুব।
সকালে নগরীর ১২৩টি কেন্দ্রে ভোট শুরু হয়। আর পৌনে নয়টায় ভোট দিতে এসে সরোয়ার বলেন, ৫০টির মতো কেন্দ্রে তার এজেন্টকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। তবে বেলা ১২টায় করা সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির প্রার্থী বলেন, ‘সকাল হতে ৭০-৮০টি কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টদের ঢুকতে দেয়নি। সেখানে সবাই মিলে নৌকা মার্কায় সিল মেরেছে।’
‘আওয়ামী লীগ ন্যাক্কারজনকভাবে ভোট দিচ্ছে, নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল সরকারি বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রের বেশ কয়েকটি নৌকায় সিল মারা ব্যালট দেখিয়ে বলেন, ‘এই দেখুন আওয়ামী লীগ এইভাবে ব্যালটে সিল মেরেছে।’
গত ১০ জুলাই ভোটের প্রচার শুরুর পর থেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করে আসছিলেন সরোয়ার। আর ভোটের সকালেও তিনি বলেন, তাদের এজেন্টদের ঢুকতে না দেয়ার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের চেয়ে বেশি দায়ী পুলিশ।
তবে আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ দেবেন না বলে সে সময় সাংবাদিকদের জানান সরোয়ার।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হামলা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশনও বলেছিল, গাজীপুর ও খুলনার থেকে বরিশালে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। কিন্তু ক্ষমতাসীন দল নির্বাচনে প্রশাসনকে কাজে লাগিয়েছে।’
ভোটগ্রহণের শুরু থেকেই দখলের খবর পাচ্ছিলাম। ৭০ থেকে ৮০টি কেন্দ্রে আমাদের এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে, ঢুকতে দেয়া হয়নি। অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা পাইনি।’ আর যেসব কেন্দ্রে এজেন্ট ঢুকতে দেয়া হয়েছে সেখানেও কেন্দ্রের ভেতরে নৌকার লোকজন সিল মেরেছে।’
এই অভিজ্ঞতা কখনও হয়নি দাবি করে সরোয়ার বলেন, ‘আমি চারবারের এমপি, সাবেক মেয়র। কিন্তু এমন নির্বাচন আমি কখনো দেখিনি। সরকার পারত আগেই ষোঘণা দিয়ে করপোরেশনের ফল নিয়ে নিতে।’
নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করার পাশাপাশি কমিশনের বিরুদ্ধে বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী।